প্রকাশিত: ০৫/০৭/২০১৯ ৪:৫৯ পিএম

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে চীন। আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেয়া হবে বলে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চীনের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেয়ার এ প্রতিশ্রুতি আদৌ কি প্রতিফলিত হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, সত্য হোক কিংবা মিথ্যা হোক, চীনের এ প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদ।

তিনি বলেন, চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভাল। শেষ পর্যন্ত চীন সহায়তা করবে কি না এটা সময়ই বলে দেবে। তবে তাদের এ প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপের জন্য সহায়ক হবে। এ প্রতিশ্রুতি কাজে লাগিয়ে অন্যান্য শক্তিশালী দেশে ও জাতিসংঘে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো যাবে।

মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাব অনেক বেশি উল্লেখ করে তানজিম উদ্দিন খান বলেন, চীন চাইলে এ সংকট দ্রুত সমাধান করতে পারে। কিন্তু মিয়ানমারে চীনের বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। ফলে তারা দুইপাশ ব্যালেন্স করে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে আমার ধারণা। সহায়তা না করলে চীন এ প্রতিশ্রুতি দিত না।

এছাড়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করে পুরোপুরি বাধ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চীনের দ্য গ্রেট হল অব পিপলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী এ দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং এ সমস্যা দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে সমাধানে গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক চীনের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়ে চীনের বন্ধু। এর আগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দুদেশকে সহায়তা করেছি এবং এ চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। এছাড়া চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুদেশকে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে চীন জানায়, তারা তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুইবার মিয়ানমারে পাঠিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনে চীন আবারো তাদের মন্ত্রীকে মিয়ানমারে পাঠাবে। উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সংকট কাটিয়ে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনা হবে।

গত ১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচদিনের সরকারি সফরে চীনে যান।

উল্লেখ্য, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারকে রাজি করাতে গত ২৫ জুন চীনের সমর্থন চেয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একেএম আব্দুল মোমেনও। সেদিন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই সমর্থন চান।

পাঠকের মতামত

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ‘সুখবর’ দিল মালয়েশিয়া সরকার

মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ...

ভারতে আশ্রিত আওয়ামী নেতাদের নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন মমতা, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ার হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ...

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন করছে আরাকান আর্মি: এইচআরডব্লিউ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর দমনমূলক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিগত ...

রয়টার্সের প্রতিবেদনমিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন

মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে ...

মিয়ানমার জান্তা ঘনিষ্ঠদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ ...